চলতি বছরের বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসকে (এমডব্লিউসি) সামনে রেখে ২০২১ সালের অপো সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অপো।
ব্র্যান্ড মিশন ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’
এর দিকে যাত্রা অভিমুখে নিজেদের প্রোডাক্ট সাইকেলের সব ক্ষেত্রে
সাসটেইনিবিলিটি ও পরিবেশ-বান্ধব ধারণা সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির অর্জনের
বিষয়গুলো এ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অপো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত `৩আর+১ডি’প্যাকেজিং নীতি বাস্তবায়নে
প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি ব্র্যান্ডটি প্যাকেজিংয়ের ওজন কমাতে, রিসাইকেল
করা উপকরণের পুনঃব্যবহারে এবং রিসাইকেলযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল উপকরণ
প্যাকেজিং- এর ক্ষেত্রে ব্যবহারে কাজ করবে।
ইউরোপের বাজার থেকে শুরু করে, অপো সফলভাবে স্মার্টফোন পণ্যে ব্যবহৃত
প্যাকেজিংয়ের পরিমাণ ২০১৯ সাল থেকে ২৪ শতাংশ কমিয়েছে। প্লাস্টিক
উপকরণগুলো এখন পরিবর্তনযোগ্য নয়, তাই অপো বায়োডিগ্রেডেবল পলিল্যাকটিক
অ্যাসিড ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি প্রায় ৪৫ শতাংশ প্যাকেজিং
রিসাইকেলযোগ্য ফাইবার দিয়ে ইউরোপের বাজারের জন্য স্মার্টফোন প্যাকেজিং করা
হয়েছে, এর ফলে কাঁচামাল ব্যবহারের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।
পণ্যের স্থায়িত্ব বাড়াতে, ব্যাটারির লাইফস্প্যান বাড়াতে অপো সেলফ-ডেভেলপড
ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন চালু করেছে। এ উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফলে ১৬শ’বার
পর্যন্ত চার্জিং-ডিসচার্জ হওয়ার পরেও ব্যাটারির এর সক্ষমতা ৮০ শতাংশ
পর্যন্ত বজায় রাখতে সক্ষম।
অপো ইতোমধ্যেই একটি পণ্য রিসাইক্লিং ব্যবস্থা তৈরি করেছে এবং ব্যবহৃত
মোবাইল ফোনের রিসাইক্লিং ও এর পুনঃব্যবহার ধারণা ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় এবং
আন্তর্জাতিক বাজারে ট্রেড-ইন সুবিধা দিয়েছে। চীনে, এখন পর্যন্ত ১২ লাখেরও
বেশি ফোন এই উদ্যোগের মাধ্যমে রিসাইকেল করা হয়েছে, যা ইলেকট্রনিক বর্জ্যের
হিসেবে ২১৬ টনেরও বেশি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য অঞ্চলে অর্থ সহায়তার
মাধ্যমে স্থানীয় রিসাইক্লিং সিস্টেম চালু করেছে এবং প্যাকেজিং বর্জ্যের
জন্য গ্রিন ডট রিসাইক্লিং প্রোগ্রামে অংশ নেয় এবং পেশাদার তৃতীয় পক্ষ
রিসাইক্লিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে।
নিজেদের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও অপো সাসটেইনিবিলিটি নিয়ে প্রচারে অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
0 coment rios: